প্রত্যেকের জীবনে একটা সময় থাকে। সময়টার নাম হলো “সুন্দরতম সময়”.. ভাল সময় না কিন্তু, ভালোর থেকে অনেক বেশি।এই শহরে প্রেম ভুল রং মেখে বসে থাকে। একটু সময়ের জন্য হলেও কথাটা ভুলে যায় সবাই। ভুল ভাঙে। আর তারপরের সূর্যডুবী সন্ধ্যাগুলোতে “সবই আছে তবু কি যেন নেই” টাইপ হাহাকারে ডুবে থাকে।
প্রত্যেকটা জীবন একেকটা উপন্যাস।উপন্যাসে নতুন নতুন গল্প যুক্ত হয় রোজ। উপন্যাস পড়তে চায় অনেকেই, কিন্তু উপন্যাসে জমে যাওয়া ধূলো পরিষ্কার করার লোকের যে বড় অভাব। বুকে পাথর নিয়ে চলা লোকের কাছে সব্বাইকেই ধূলো পরিষ্কার করা লোক বলে ভ্রম হয়। এই লোকগুলোকে খালি দূর থেকে দেখা যায়,ভালবাসা যায়, অনুভব করা যায়, ছোঁয়া যায় না।
নির্ঝরে স্বপ্নভঙ্গ হয়। সবাই জানে। কিন্তু কেউ মনে রাখে না। যার ভাঙে; যা যাওয়ার তারই যায়।
একাকীত্ব খুব চমৎকার জিনিস। মাঝেমাঝেই মনে হতে পারে হাত ধরার কেউ থাকলে মন্দ হয় না, জড়িয়ে ধরার মতো কেউ থাকলে হা-হুতাশ কমতো... কিন্তু তবু খুব সু্ন্দরভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়।
প্রত্যেকটা মানুষই আসলে ভেতর থেকে খুব নিঃসঙ্গ। পথ চলতে হয় একা... এই একা থাকার মাঝখানে দু-একজন মানুষ চলে আসে। ওদের আমরা বিশেষ মানুষ বলি। সেই বিশেষ মানুষগুলো জীবনের সুন্দরতম সময় উপহার দিয়ে অসুন্দরতম সময়ে হারিয়ে গিয়ে জানিয়ে দেয়- একা থাকাটাই ভবিতব্য।
এক বুক বিরহ নিয়ে পথ আগলাতে গিয়ে এক ভোরের সমস্ত শিউলিগুলো মিথ্যে করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দেওয়া আর হয় না। কিছু মেনে নিয়ে মানিয়ে নিতে হয়।নতুবা কিছু না মেনেই মানিয়ে নিতে হয়।
তারপর সহস্র বর্ষ ধরে শূন্যতার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মানুষ একসময় বলা শুরু করে- “উফ.. ভালবাসা বড় বিচ্ছিরি জিনিস”...